image-ANI

সাং
সদ, বিধায়ক সহ আরো ১০ জন হেভিওয়েট কর্মী নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এরপর অমিত শাহ কে 'আমার দাদা' বলে সম্বোধন করে করে তিনি বলেছেন, 'দেশের গর্ব অমিত শাহ। তার হাত ধরে এলাম বিজেপিতে, আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠেছি। আমার বিশ্বাসঘাতক বলেছে আজকে যারা, তারা জবাব পাবে। আমি ক্ষমতার জন্য বিজেপি তে আসেনি। আমাকে পতাকা লাগাতে বললো আমি তাই করবো। আমাকে দেন লিখতে বললে আমি দেয়ার লিখব'। এমনকি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়ে তিনি বলেছেন, 'তৃণমূলের থাকতে বিজেপি হটাও স্লোগান দিয়েছি, কিন্তু এবার বলছি তোলাবাজ ভাইপো হাটাও'। এরপর আর দেরি করেননি তৃণমূল নেতারা। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এরা বিশ্বাসঘাতক। আদর্শহীন। অধিকারী পরিবর্তনের আদৌ কি কোন বিশ্বাসঘাতকতা আছে। ২০১৪ সালে লোকসভায় যেতে আবার ২০১৬ সালে শুধু মন্ত্রী হবার জন্য ফিরে আসেন। শুধু আপনার(শুভেন্দু অধিকারী) জন্য একটা উপ নির্বাচন করতে হয়েছিল। এখন বলছে তৃণমূল পচে গিয়েছে, তবে এতদিন পচা দলে থাকলেন কেন?'


শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ টেনে সাংসদ সৌগত রায়ের কথায়, 'নন্দীগ্রামে ৪০ শতাংশ মুসলিম ভোট রয়েছে। আর যিনি দলবদল করলেন, তিনি নন্দীগ্রাম থেকেই জিততে পারবেন তো? সংখ্যালঘুরা তাকে ভোট দেবে না। জিততে কষ্ট হবে।'একই সঙ্গে শুভেন্দুর তৃণমূল থেকে কোন গুরুত্বই দিতে নারাজ সৌগত। তার কথায়, 'শুভেন্দুর জন্য কোনো প্রভাব পড়বে না। যে গ্যাপ হয়েছে তা আমরা সহজেই ভরাট করে নেব।'



শুভেন্দুর ক্ষমতার লোভ কে কটাক্ষ করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' আজ শুভেন্দু অমিত শাহ কে প্রণাম করলেন,সেটা উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে করেছিলেন। আপনাকে তিনটি মন্ত্রিত্ব, চার থেকে পাঁচটা জেলার পর্যবেক্ষক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কত সম্মান চান? মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারটা কি আপনাকে দিয়ে দিতে হতো?,তে কোন মিটিং এ শুভেন্দু খুঁজতেন মমতা , শুভেন্দু উপস্থিত না হলে মিটিং শুরু করতেন না মমতা।


কল্যাণী সংযোজন, 'মেদিনীপুরের মাটি বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরামের মাটি। সেখানে যে এমন আদর্শহীন, বিশ্বাসঘাতক রয়েছে, তা মানুষও ভাবি নি। শুভেন্দু যেখানে যেখানে জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন, সেখানে সেখানে ভোট বেড়েছিল বিজেপির। এর থেকে বোঝা যায় কত বড় চক্রান্ত চলছিল ভিতরে ভিতরে। ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহ সঙ্গে ওর যোগাযোগ ছিল।


এদিন তোলাবাজ 'ভাইপো হাটাও' যে স্লোগান দিয়েছে শুভেন্দু তাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন  'কাপুরুষ এদের কোন বুকের পাটা নেই। তাই ভাইপোর নাম মুখে দিতে পারছেন না। বুকের পাটা থাকলে মুখে নাম নিয়ে দেখুন। আর ক্ষমতা! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে চান না বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন।'



আপনার মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন